আবার মেয়ে? ~ আলপনা ঘোষ





সকাল প্রায় আটটা ডাক্তার...স্বপ্না রায় প্রাত:রাশ..সারছেন..এমন সময় রাধা উঁকি দিলো “ম্যাডাম কেউ দেখা করতে এসেছে’..ডঃ স্বপ্না রায় বিরক্ত হয়ে বললেন আমি নতুন..আপেয়ণ্টমেন্ট..করতে বারণ করেছিনা আবার কাকে আনলি? আজকাল প্র্যাকটিস..প্রায় ছেড়ে..দিয়েছেন,..বয়স হয়েছে রোগী দেখেন..না..কিছু পুরনো রুগী আছে তারা ছাড়তে..চায় না তাই..কিছু সময় নার্সিং হোমে বসেন কিছু রুগী..দেখন।

রাধা..ওঁর ওনেক পুরনো স্টাফ, সব কিছু দেখাশোনা রাধাই করে, রাধা কলকল করে উঠলো “নাগো ম্যাডাম তুমি দেখবে চলো কারা এসেছে, ডঃএকটু অবাক হলেন এমন সময় কে আসবে? বললেন “আসছি বসতে বল" কফিটা শেষ না করেই কৌতুহল নিয়ে নীচে নামলেন, ড: রায়, দেখলেন ওনার চেম্বারে বসে আছে একটি মহিলা সঙ্গে একটি সবে কৈশোর উত্তীর্ণ একটি মেয়ে আর একটি পাঁচ, ছয়,বছরের শিশু।

উনি চিনতে পারলেন না, মহিলা উঠে এসে প্রণাম করলো, বল্লো “ডাক্তার মেমসাহেব আমাকে চিনতে পারলেন না? আমি লালমাটীযার সারিয়া, আর এটি আমার সেই মেয়ে লছমি, আর এই আমার নাতনী পুতলি, এই তোরা আয় ডাক্তার মেমসাহেব কে প্রণাম করনা, লছমি এবার মেট্রিক পাস করেছে, এই লছমি তুই বলনা, তুই যেনো কী হয়েছিস?”

মেয়েটি লাজুক হেসে বল্লো, “বিহারে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছি, আর পুরো বিহারে সিক্স, এখানে ভাগলপুরে কলেজে ভর্তি হবো বলে এসেছি, মা বল্লো আগে আপনাকে প্রণাম করে
তবে কলেজে যেতে”।

স্বপ্না রায় ভাবলেন স্বপ্ন দেখছেন নাতো?সত্যি সত্যি সেই দিনের..মেয়েটি সামনে দাঁড়িয়ে আছে?..লছমিকে জড়িয়ে ধরলেন, অনেক আদর করলেন।..সারিয়ার চোখে জল, সে তখনো বলে চলেছে..“দেখ ডাক্তার মেমসাহেব আমি মেয়েকে বিয় দিইনি পড়িয়েছি গ্রামের ইস্কুলে লোকে আমাকে..অনেক কতা সুনাইেছে তবু আমি ওকে পড়িয়েছি কারুর কতা শুনিনি,..আজকে সেই গ্রামের লোক..লছমিকে বাহবা দিছে, বল আমি ঠিক করেছি কিনা? ..ও সত্ত্যি আমারঘরের লছমি,..ও আসার পরে আমার ঘরে যেনো লছমি এলো। কতো ধান জমি..হলো,..গরু কেনা হোলো,..ও আমার লছমি,..দেখনা তোর জন্য কাতারণী চাল আর গুড় এনেছি,আমি আর কী আন্লাম ওর জীবনটাই তো তোর কাছে বাঁধা কী করে আমি বোঝাবো তোকে? বড়ো মেয়ের মেয়েকেও পড়াচ্ছি আমার বাড়িতে কেউ আঙ্গুটা ছাপ থাকবে না”।

ডাক্তার রায় আপ্লুত,দুচোখ ভরে জল,সবে কিশোরী হয়ে ওঠা মেয়ে লছমি কে দেখে ওর জন্মের সময়ের কথা মনে পড়লোI তখন শরত্কাল দুর্গাপুজো শেষ হলেও..যেন পুজোর আমেজ সব জায়গায় লেগে আছে,..সেইসময় তাঁর কাছে বেড়াতে এলো তাঁর বান্ধবী দেবলিনা সেন।..কাজের চাপে.সন্ধ্যে বেলায় ছাদে আড্ডা বসতো,..দিনের বেলায় বিশেষ আড্ডা জমতো না,

একদিন সকালে স্বপ্না বান্ধবিকে বললেন "দিনের বেলা তুমি বোর ফীল করো আমি তো তোমায় সময় দিতে পারিনা এখন চলো, তার থেকে আজ সিজারিয়ান অপারেসান আছে চলো গিয়ে দেখো, আমার হাত কেমন চলে, আর একটা নতুন জীবন কি করে পৃথিবীতে আসে”। দেবলিনা সানন্দে রাজী হয়ে ডাক্তারের সঙ্গে নীচে ক্লিনিকে গেলেন অপরেসন টেবিল সাজানো ছিলো। স্বপ্না সার্জারির ড্রেস পরে পেশেন্টের কাছে গিয়ে বললেন “'কীরে সারিয়া ভয় করছে নাতো?”

একটু নরম গলায় সারিয়া বল্লো "না মেমসাহেব ভয় করছে না”। টেবিল তৈরি, পেশেন্ট আনা হলো, ডাক্তারের অভ্যস্ত হাতে ছুরি কাঁচি চলতে লাগলো একটু পরেই শিশুটিকে বার করে আনলেন পৃথিবীর আলোতে। সুন্দর একটি শিশুকে দেখে দেবলিনা যারপর নাই আনন্দে ভরে উঠেছিলেন, কিন্তু শিশুকে দেখেই ডাক্তার বলে উঠলেন “আবার মেয়ে?” বন্ধু রীতিমতো রেগে গিয়ে বললেন “একি স্বপ্না তুমি নিজে মেয়ে হয়ে একি কথা? ছি ছি লজ্জা করেনা তোমার? একজন লেখা পড়া জানা মেয়ে হয়ে কিরকম তোমার মন?” ডাক্তার মুখে কিছু বললেন না, শিশুটিকে সিস্টার রাধার হতে তুলে দিয়ে নিজের কাজ শেষ করলেন, প্রসুতি মাকে গায়ে হাত দিয়ে স্বান্তনা দিলেন কিন্তু মায়ের চোখে জল, করুণ চোখে কাতর প্রার্থনা ডাক্তারের কাছে , কাজ শেষ করে দুই বন্ধু ওটি থেকে বেরিয়ে এলেন, বাইরে মেয়েটির স্বামী এবং শাশুডী দাড়িয়ে ছিলো সংবাদ শুনে মোটেই খুশি হলো না, কিছু করার নেই, ওনারা দুই বন্ধু ওপরে চলে এলেন, দুপুরে বিশ্রাম নিয়ে বিকেলে ছাদে আড্ডা বসলো অনেকে এলো, কেউ নিজের কবিতা, কেউ গল্প পড়লো কেউ বা শুনতে এলো জমিয়ে আড্ডা হলো রাত দশটার পরে সভা শেষ হলো, আড্ডা শেষে সকলে নীচে নেমে গেলো। দুই বন্ধুও সব কিছু গুটিয়ে নীচে নামতে নামতে কী মনে করে দেবলিনা বলে উঠলেন “চলো দেখে আসি সকালের নতুন শিশুটি কি করছে”,

দুজনে নার্সিং হোমে দেখতে গেলেন প্রসুতি আর শিশূটী কী করছে। ওখানে গিয়ে যা দেখলেন তাতে দুজনেই স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। রাধা আর কয়েক জন সিস্টার ব্যস্তো হয়ে দৌড়া দৌড়ি করছে, শিশুটিকে পরিচর্যা করছে আর তার মা পিছন ফিরে শুয়ে আছে , ভালো করে দেখে ডাক্তার রাধাকে বকলেন "আমাকে ডাকিসনি কেনো?" এতো সিরিয়াস হলো কিকরে?

রাধা বললো যখন সারিয়াকে বেডে দেওয়া হলো তখন মা ও বাচ্চা ঠিকই ছিলো, দেখে রাধা খেতে চলে গিয়েছিলো ইতিমধ্যে সারিয়ার শাশুডী এসে ওকে খুব গালাগালী করে এবং ওকে পিছন ফিরে শুতে বলে হাতের কাচ্ছে কিছু না পেয়ে ডেটলের শিশি থেকে অনেকটা ডেটল শিশুটিকে খাইয়ে দেয় , সেই সময় একজন সিস্টার সেটা দেখতে পায় সে দৌড়ে গিয়ে রাধাকে ডেকে আনে, রাধা প্রথমটা নার্ভাস হয়ে পড়ে, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে নিজের কাজ শুরু করে দেয়, নবজাত শিশু, সেজন্যে জলের বদলে দুধ দিয়ে স্টমাকওয়াস শুরু করে দেয় এবং সারিয়ার শাশুড়ীকে ঘর থেকে বার করে দেয়। এই সময় ম্যাডাম ছাদে ছিলেন বলে ওনাকে ডাকেনি, এখনই ম্যাডামকে খবর দেবার জন্যে ছাদে যাবার কথা ভাবচ্ছিলো , স্বপ্না ও দেবলিনা ঘটনা দেখে হাতচকিত।

ড: শিশুটিকে পরীক্ষা করে দেখলেন শিশুটির জীবন সংশয় আর নেই, তখান দেবলিনার দিকে তাকিয়ে বললেন “দেখলেতো তখন কেনো আমি বলেছিলাম? এবার বুঝতে পারছ এদেশে মেয়েদের কী অবস্থা , যেহেতু এটা দ্বিতীয় মেয়ে সন্তান সেই হেতু একে কোনো ভাবে বাঁচতে দেবে না, হ্ত্যা করতেও দ্বিধা করে না”।

রাধাকে নির্দেশ দিলেন শিশুটিকে সারা রাত পাহারা দিতে, শাশুড়ী বা স্বামী যেন কাছে না আসে, ঘটনা দেখে দেবলিনা হতবাক হয়ে একটি চেয়ারে বসে পড়লেন দুচোখে জল, নিজেকে সামলাতে পারছছেন না, স্বপ্না পিঠে হাত রেখে সান্ত্বনা দিলেন, কিছুক্ষণ বসে দুই বন্ধু ঘরে চলে এলেন, কিন্তু ঘুমাতে পারছছেন না। ঘটনাটা দেবলিনার মনে দাগ কেটে বসে গেছে। প্রায় সারা রাত জেগে সারা রাত পায়চারি করলেন দেবলিনা। অত্যন্ত মর্মাহত,কতটা নির্মম হতে পারে একজন, যে কিনা নিজেই একজন মহিলা, নির্বিচারে হত্যা করতে দ্বিধা করে না, আর একজন অল্পবয়সী মা সে বাধাও দিতে পারে না, এটা কিরকম সমাজ? কিরকম রীতি? স্বামী সেও কিকরে সায় দেয়? কিচ্ছুই ভাবতে পারেন না দেবলিনা।

রাত কখন ভোর হয়ে গেলো বুঝতেই পারেল্‌ন না। দুই বন্ধু চায়ের কাপ নিয়ে ব্যলকানিতে বসলেন , রাতের ঘটনা আবার আলোচ্য বিষয় , স্বপ্না বললেন "জানো দেবলিনা এই শিশুটিকে কিছুতেই বাঁচতে দেবেনা এদের পরিবার, যতক্ষণ আমার ক্লিনিকে আছে ততক্ষণ শিশুটি বাঁচবে, তারপর বাড়ি নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলবে। আমাদের কিছু করতেই হবে। কী করা যায় ভাবতে ভাবতে নীচে নামলেন ড: স্বপ্না রায় । ওয়ার্ডে গিয়ে দেখলেন শিশুটি সারিয়ার কোলে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে, ডাক্তারকে দেখে সারিয়ার চোখে কাতর প্রার্থনা, নি:শব্দে তাকে সান্ত্বনা দিলেন,মুখে বললেন "কীরে বাচ্চা এখন ভালো আছেতো?" সারিয়া চোখের জল লুকিয়ে বল্লো "হ্যাঁ মেমসাহেব ভাল আছে. চেম্বারে বসার পর সারিয়ার স্বামী এলো দেখা করতে, বল্লো "মেমসাহেব আজ সারিয়াকে কী বাড়ি নিয়ে যেতে পারি? ড: স্বপ্না ওদের মতলব বুঝতে পেরে বললেন "আমি জানি তোমরা খুশি নয় কিন্তু আমি বলবো প্রথমে শিশুটির ভাগ্য তো দেখে নাও তারপরে ভাববে কী করবে?”

সারিয়ার স্বামীর চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো "কী করে জানবো মেমসাহেব? আমাদের ঘরে তো দহেজের জন্যে পাগল করে দেয় লোকে; তাতেই আমার মা ......" ড: রায় বললেন ঠিক আছে আমার একজন চেনা জ্যোতিষী আছে তার কাছে যাও কী বলে দেখো" লোকটি খুশি হয়ে ঠিকানা নিয়ে চলে গেলো। ড: রায় চেনা জ্যোতিষী ত্রিপাঠীকে ফোন করে বলে দিলেন "আমি একজন কে পাঠাচ্ছি তুমি তাকে গণনা করে সব কিছু শুধু খুব ভালো এই কথা বলবে।

প্রায় ঘন্টা খানেক পরে সারিয়ার স্বামী খুশিতে ভরপুর হয়ে এসে বল্লো "মেমসাহেব জ্যোতিষী তো বলছে এই মেয়েতো লক্ষ্মী পৈদা হয়েছে, লছমি মায়ের রূপ, ঘরে অনেক ধনদৌলত নিয়ে আসবে আমাকে কোন চিন্তা কারতে হবেনা, বলছে সব সময় মরাই ভরা ধান আর দুধের গঙ্গা বইবে, মেমসাহেব আমি মেয়েটির নামও ঠিক করে নিয়েছি লক্ষ্মী, লছমির কিরপা থাকবে আমার ঘরে, আমার মাও খুব খুশি কালকের ঘটনার জন্যে অনুত্প্ত মেমসাহেব, আমাদের বাড়ি যেতে অনুমতি দিন আমি খুব যতন করে রাখবো আমার লছমিকে। ড: রায় মনে মনে হেসে ওদের ডিসচার্জ করে দিলেন, আর একটু হেসে বললেন “সব ঠিক থাকলে কালকে গাড়ি নিয়ে এসে মা আর বাচ্চাকে নিয়ে যেতে পারো”।

চেম্বারের পরে দেবলিনাকে সব ঘটনা জানালেন, দুজনে মিলে গেলেন সারিয়ার সঙ্গে দেখা করতে ওর বেডের কাছে, হাসিমুখে সারিয়ার শিশুটিকে আদর করে বললেন “তুই নিশ্চিন্তে দুই মেয়ে নিয়ে বাড়ি চলে যা আর কোনো ভয় নেই”, সারিয়ার দুচোখ ভরে জল, শুয়ে শুযেই হাত জোড় করে প্রণাম জানালো দুজনকে, "ডাক্তার মেমসাব তোমার জন্যেই আজ আমি মেয়েকে ফিরে পেযেছি নইলে কাল রাত্রেই তো ..........ওর গলা ধরে এলো, ড: রায় মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করলেন "সব ঠিক হয়ে যাবে চিন্তা করিসনা , কিন্তু তোর মতো কম বয়সে বিয়ে দিস না ওকে একটু লেখাপড়া শেখাস”।

দেবলিনা কন্যা শিশুকে কেন্দ্র করে নতুন অভিজ্ঞতায বিহবল হয়ে গিযেছিলেন, চোখে অশ্রুর প্লাবন বইছিলো, শিশুটিকে কোলে তুলে অনেক অনেক আদর করে তার মাকে জড়িয়ে ধরে অনেক সময় বসে থাকলেন, নিজেকে সামলাতে অনেক সময় নিলেন, ড: রায় তাকে বোঝালেন এটি একটি সাধারণ ঘটনা এখানে, দহেজ বা পণের ভয়ে এরা কন্যা সন্তান মোটেই চায় না, বোঝেনা মেয়ে না হলে সমাজ চলবে কী ভাবে? কন্যা ভ্রুণ হত্যা নিয়ে অনেক সভা, অনেক আলোচনা সভার নেত্রী দেবলিনা। এই ধরণের ঘটনা চোখের সামনে ঘটতে দেখবেন কোনদিন ভাবেননি, যে আবিশ্বাস্য ঘটনা তাঁর চোখের সামনে ঘটে গেলো কিছুতে মেনে নিতে পারছছেন না, চোখের জল বাধা মানচে না, সেদিন আর ছাদের আড্ডা হলো না নিজের ঘরেই বসে থাকলেন দেবলিনা স্থানুর মতো, ড: রায় অনেক গল্পো করে মন ভোলাবার চেষ্টা করলেন।

পর দিন বিকেলে সারিয়া তার দুই মেয়ে নিয়ে গ্রামে ফিরে গেলো ডাক্তার ও তাঁর বন্ধুর জীবনও স্বাভাবিক ছন্দে চলতে লাগলো। কয়েকদিন পরে দেবলিনার অবসর সময় শেষ হলে তিনি কলকাতা ফিরে গেলেন। সারিয়ার কথা ধীরে ধীরে স্মৃতির মণি কোঠায় স্থান পেলো।

তারপর এতদিন পরে আজ সারিয়া ,লছমি,পুতলি তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে, লছমি আজ শিক্ষিতা, সারিয়া গর্বে আনন্দে তার ডাক্তার মেমসাহেবকে প্রণাম করতে এসেছে চোখ বিশ্বাস করছে না, লছমি এগিয়ে এসে প্রণাম করতে ওকে জড়িয়ে ধরলেন আদর আশীর্বাদে ভরিয়ে দিলেন ,সারিয়াকে বললেন "তুই জয় করেছিস! মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করেছিস, তোর গ্রামে একটা আদর্শ স্থাপন করেছিস।

সারিয়া বল্লো "মেমসাহেব বড়ো মেয়েকে পড়াতে পারিনি কিন্তু তার মেয়ে পুতলিকে দেখো দুই কিলাসে পড়ছে,কী বলো না, ভালো করেছি কিনা?" অশ্রুর ধারা ওদের মাথা ভিজিয়ে দিচ্ছে ড: রায় এর কোনো হুশ নেই, কতদিনের পুরনো স্মৃতি আজ সামনে দাঁড়িয়ে, ওদের নিয়ে কী করবেন ভেবে উঠতে পারছছেন না, আনন্দে গদ গদ স্বরে রাধাকে ডেকে ফরমাস দিলেন "ওরে অনেক মিষ্টি নিয়ে আয় দাঁড়িয়ে দেখছিস কী?

লছমি আর পুতলির সঙ্গে ওদের স্কূলের গল্পো করলেন, প্রায় ঘন্টা খানেক পরে ওরা চলে গেলো যাওয়ার পথে তাকিয়ে ড: রায় সেই দিনের স্মৃতিতে ডুবে গেলেন, দেবলিনাকে খবর দেবার জন্যে মোবাইল হাতে নিলেন কিন্তু শব্দ রুধ্ধ হয়ে গেছে।

আলপনা ঘোষ