মরচের দাগ ~ তীর্থঙ্কর সুমিত

 





বেশ ইচ্ছা করছে জড়িয়ে একটা চুমু খাই। লাল সালোয়ারে, আবঝা অন্ধকারে... মনে মনে প্রশ্ন জাগছে কে ওটা? এতো সুন্দর কেউ হতে পারে সারা শরীরে যেন বিদ্যুৎ খেলে গেলো। মনে মনে,,

অপরপ্রান্তে কুকুরগুলো চেঁচিয়েই চলেছে ক্রমাগত ---

আমি চমকে উঠলাম। লাল সালোয়ারটাকে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ছে কুকুরগুলো। আর ওটা কোনো মেয়ে নয় একটা ক্রুশ-মূর্তি। কিছুটা দূরে পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছে সেটা। আমি এগোতেই ওদিকে যাবেন না দাদা। কুকুরগুলো ক্ষিপ্ত।

কি হয়েছে?

খুন! স্ত্রী স্বামীকে খুন করেছে।

ভালো করে ক্রুশ-মূর্তিটার দিকে তাকালাম। সেই সালোয়ারটা না! যেটা আমি রিনি কে ভ্যালেনটাইন্স ডে তে, মনে মনে বিড়বিড় করতে লাগলাম।

পুলিশ - কিছু বলছেন দাদা?

না - না

এই দেখুন লাশটাকে। কি নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমাদের ধারণা যদি সত্যি হয় তাহলে মেয়েটাকে ---

লাশটার দিকে তাকাতেই, আরে এতো নরেন! আমার ছেলেবেলার খেলার সাথী। একসাথে... আজ অনেকদিন পর প্রায় বিশ বছর তো হবেই। কিন্তু, এভাবে আচ্ছা দারোগা বাবু এনার স্ত্রীর নামই কি রিনি?

হ্যাঁ। কিন্তু আপনি?

একটু সাহায্য করুন আমাদের। আমরা জানি আপনি এক সানামধন্য উকিল।

ইতিমধ্যেই রিনির ফোন। অনেক অত্যাচারের বিনাশ ঘটিয়েছি। মেরে ফেলেছি স্বামী কে।

পুলিশ কার ফোন অভিমুন্য বাবু?

একটু থেমে বল্লাম, আপনজনের।

প্রেম - বন্ধু -সততা

কাল শুনানি। সাদা পোশাকে মরচের দাগ পড়েছে।





তীর্থঙ্কর সুমিত